পেশা হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়া কেমন?
চাকরি করব না চাকরি দেব, এই মানসিকতার উপর ভিত্তি করে উৎপত্তি হয়েছে উদ্যোক্তা ফর্মটির। প্রতিবছর লক্ষ্য লক্ষ্য শিক্ষার্থী, নিজের পড়াশোনা শেষ করে, পরিবারের দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে চাকরি খোঁজার উদ্দেশ্যে।
কিন্তু সকলের ভাগ্যে চাকরি জুটে না আর অন্যের অধীনে চাকরির মানসিকতা বর্তমানের তরুণ প্রজন্মেরতো নেই বললেই চলে। তাই নিজের স্বপ্ন, পূর্ণ স্বাধীনতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মানুষ এখন পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে উদ্যোক্তাকে।
বর্তমানে সময়ের সাথে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন এই উদ্যোক্তা পেশায়। অনেক মানুষ নিজের বর্তমান পেশা ছেড়ে এই সেক্টরে প্রবেশ করতে পূর্ণ মনোনিবেশও করেছে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে অনেকেই তেমন কোন সাফল্য পাচ্ছে না উদ্দোক্তা হওয়ার পথে হেটে।
যারা ভাবছেন পেশা হিসেবে একজন উদ্যোক্তা হওয়া কেমন বা এন্টারপেওনিয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যারা পরিপূর্ণ গাইডলাইন খুঁজছেন তাদের জন্যই মূলত আজকের ভিডিও। আশা করি, একজন উদ্যোক্তা হতে হলে কি করবেন, তার পরিপূর্ণ গাইডলাইন হয়ে উঠবে আজকের আলোচনা।
শুরুতেই উদ্যোক্তা হতে চাইলে মনে রাখতে হবে কিছু বিষয় নাহলে অকালে ঝরে যাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে গুণতে হতে পারে বড় অংকের লোকসানও।
মনে রাখবেন যেকোনো পণ্য উৎপাদন করে উদ্দোক্তা ট্যাগ লাগিয়ে বাজারে নামতে পারে যে কেউ তবে সত্যিকারের উদ্দোক্তা চেনা যায় কতদিন তার ব্যবসাটা বাজারে রান করলো সেটার উপর। মার্কেট বা তার ব্যবসায়ীক রাস্তায় সে কতটুকু গ্রহনযোগ্যতা সৃষ্টি করতে পারলো নিজের ক্রিয়েটিভ স্ট্রাটেজী দিয়ে সেটাই দিনশেষে মুখ্য বিষয়।
এতো পেশা থাকতে আপনাকে কেন উদ্যোক্তাই হতে হবে? অন্য কোনও পেশা কেন বেছে নিতে নিচ্ছেন না? নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করা ভীষণ জরুরি..
আমাকে উদ্যোক্তাই হতে হবে, এই ভেবে উদ্যোগের শুরুটাই মূলত ভুল’- কী নিয়ে কাজ করতে চাইছেন সেটা ঠিক করুন আগে।
তাহলে ভাবছেন একজন নতুন উদ্যোক্তা কীভাবে বেছে নেবেন তার উদ্যোগের বিষয়?
যেকোনো উদ্যোগ শুরু করার আগে নিজেকে ভালো করে জানতে হবে ও বুঝতে হবে। নিজের যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা, সামর্থ্য সম্পর্কে পরিষ্কার জ্ঞান থাকা খুব জরুরি। ‘আপনি কোন কাজে ভালো কিংবা কোন কাজটা আপনি আর দশজনের চাইতে সুন্দরভাবে করতে পারেন সেটা খুঁজে বের করুন।
যদি মনে করেন আপনার এই সেরা দিকটি কোনও পণ্য কিংবা সেবার সাথে সম্পর্কযুক্ত, ঠিক তখনই আপনি এই পণ্য বা সেবা বাণিজ্যিকরণ বা বিক্রয়ের উদ্যোগ নিতে পারেন। নিজের সেরা দিক নিয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই। প্রথমেই খোঁজ রাখতে হবে বাজার সম্পর্কে,ব্যবসা শুরুর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা বাজারে যারা একই পণ্য নিয়ে ভালো কাজ করছে তাদের ব্যবসার পর্যালোচনা করতে হবে।
আপনি তাদের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করুন কেন তারা ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে পারছে না, কিংবা ক্রেতারা এই একই পণ্যে আরও কী কী চাইছেন- সেগুলো নিয়ে ভাবুন।
একইসাথে ক্যটাগরী ভিত্তিক সব পণ্যর লাভ-ক্ষতি সম্পর্কেও যথাযথ জ্ঞান থাকা জরুরি। ‘পণ্যের পিছনে সময় দিলেন সারাদিন, অথচ সেখান থেকে যে লাভ হলো সেটা দিয়ে আপনার বিকেলের নাস্তার খরচও পোষাচ্ছে না’- এমন উদ্যোগ নিয়ে না নামাই উচিত। শখ আর ব্যবসা- দুটোকে আলাদা করে চিন্তা করতে শিখে তারপরেই শুরু করুন আপনার নতুন উদ্যোগ।
আপনার উদ্যোগ সম্পর্কিত বিষয়ে খোঁজ নিন, উদাহারণস্বরূপ, আপনি যদি খাবার নিয়ে কাজ করতে চান; তবে খাবারের প্যাকেজিং, ডেলিভারি কীভাবে দেবেন ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর করে নিন।
আবার যদি হাতে তৈরি গয়না কিংবা পোশাক নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন, তবে সেগুলোর কাঁচামাল কোথায় কম দামে কিনতে পারবেন সেটা জেনে নিন।মোট কথা, পণ্য প্রস্তুত থেকে শুরু করে ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, সেটার প্রস্তুতি নিয়ে তারপর শুরু করুন উদ্যোগ।
উদ্যোগ শুরুর পর সামনে আসতে পারে এমন সব প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে প্রস্তুত থাকুন। অনেকেই ভাবতে পারেন আমি তো অনলাইন উদ্যোক্তা হবো, অনলাইন ব্যবসায় আবার কী ধরনের বাধা আসতে পারে? পেইজ হ্যাক, গ্রুপ হ্যাক, ব্ল্যাকমেইল, ডিজাইন চুরি, ছবি চুরিসহ আরও অনেক ধরনের প্রতিবন্ধকতাই চলে আসতে পারে সামনে। এছাড়া নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীর আগমনের প্রস্তুতিও রাখতে হবে।
উদ্যোক্তা হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে। পাশাপাশি ধরতে হবে ধৈর্য্য। নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। বরং ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যেতে পারলেই আসবে সফলতা।
উদ্যোক্তা মানেই কিন্তু সফলতা নয়। সফল উদ্যোক্তাদের গল্প পড়ে উদ্যোগ শুরু করার আগেই ভেবে বসবেন না যে আপনিও তার মতোই সফল হবেন। নিজের সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার পরও সাফল্য অধরা থাকতে পারে। কোনও কারণে উদ্যোগ সফল না হলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কেও আগেভাগে ঠিক করে রাখুন।
সবসময় মনে রাখবেন, উদ্দোক্তা হতে হলে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে থাকতে হবে ঝুঁকি নেয়ার মানসিকতা। সবসময় আস্থা রাখুন নিজের উপর, ভয়কে দূর করে নিজের লক্ষ্যকে অনুধাবন করুন।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধরুন আপনি কোন জিমে গিয়েছেন। আপনার বডির শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে, আপনাকে প্রথমে ১০ কিলো ভর নিতে হবে, বাইসেপ তৈরি করার জন্য। প্রথমে খানিকটা কষ্ট হতে পারে, কিন্তু আপনি যদি একবার বডির শক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন, তাহলে বেশি কষ্ট হবে না।
মূলত চ্যালেঞ্জ আপনাকে যেকোনো সাধারণ কাজ কিংবা কঠিন কাজকে সহজ করে তুলে। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে, আপনাকে সবসময় পরবর্তী চ্যালেঞ্জ খুঁজে ঝুকি নিতে হবে। মাত্র ৩ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে, এখন বাংলাদেশের প্রধান মোবাইল ফোন এক্সসরিজ নির্মাতা হালিমা টেলিকম। এরকম খবর উঠে এসেছে, প্রথম আলোর খবরে।
সুতরাং, নিজের উপর আস্থা রেখে, ব্যবসা শুরু করে দিন। আপনার আত্মবিশ্বাস আপনাকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।
এতক্ষণ যা বললাম সেগুলো খুবই ব্যাসিক আলোচনা তবে স্মার্ট উদ্দোক্তা হতে হলে আপনাকে কিছু ক্ষেত্রে মুন্সিয়ানা দেখাতে হবে,
এই যেমন ধরুন বিজনেস পার্টনার নির্ধারণ, কিছুটা অবাক করার মতো হলেও যেকোনো এন্ট্রোপেওনিয়রশীপে সাফল্যের চাবিকাঠি হল এটি। কারণ সাহায্য ছাড়া, কেউ কখনো সফল হতে পারবেন না। পার্টনার হিসেবে এমন কাউকে বেছে নেওয়া উচিত নয় যে, শুধু আপনার দোষ সমূহ দেখে।
বরং একজন সহযোগী হিসেবে এমন কাউকে আপনাকে বেছে নিতে হবে, যে দোষ দেখার পাশাপাশি আপনার গুণগুলো প্রস্ফুটিত করতে সাহায্য করবে।
একজন ভালো সাহায্য-পরায়ণ মানুষ আপনাকে সকল দিক থেকে পরিপূর্ণ সহায্য করবে। যা আপনাকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে।
ভালো পার্টনার পেয়ে গেলে মূলধন নিয়ে পরিকল্পনা করুন,
স্টার্ট-আপ বলুন কিংবা ব্যবসার কথা বলুন, সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় অর্থের। এইটা জীবিকা নির্বাহের একটি অংশবিশেষ। অনেক উদ্যোক্তাদের দেখা যায় অর্থ সংগ্রহ করতে করতে তাদের আর কোন পরিকল্পনা থাকেনা।
মূলত অর্থ সংগ্রহের জন্য মাধ্যম হল: ব্যক্তিগত সংগ্রহ,ইনভেস্টরের মাধ্যমে,স্টার্ট-আপ লোনের মাধ্যমে।
আপনি কোন মাধ্যমে অর্থ নিবেন এবং তা কোন ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যয় করতে হবে, তার জন্য আগেই একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
মূল-ধন তো নিশ্চিত হয়ে গেল এবার তাহলে গ্রাহক নির্ধারণ করা যাক,
সফল উদ্যোক্তারা ভালো করেই জানে তাদের গ্রাহক বা ক্রেতা কে? বেশিরভাগ ব্যবসা ঠিক এই জন্য সফল হয়না, কারণ তারা জানেনা যে, তাদের কাস্টমার কারা।
ধরুন আপনি কোন ব্যবসা শুরু করেছেন, কিন্তু আপনি জানেন না আপনার পণ্য কাদের জন্য তৈরি করবেন, তাহলে আপনার ব্যবসা কিভাবে সফল হবে? আপনি কসমেটিকসের পণ্য তৈরি করেন স্বাভাবিক ভাবে আপনার ক্রেতা নারীরা। আবার, বাচ্চাদের পণ্য তৈরি করলে সেটার ক্রেতা কিন্তু বাচ্চারা নয়?
সুতরাং, একটি ব্যবসাকে সফল করতে হলে, আপনার গ্রাহক কে হবে, সেই সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। তাদেরকে টার্গেট করে মার্কেটিং ও সেলস চালিয়ে যেতে হবে।
গ্রাহক বাড়াতে বৃদ্ধি করুন আপনার নেটওয়ার্ক, সেলস বাড়াতে নেটওয়ার্ক এর চেয়ে উত্তম মাধ্যম আর কিছুই নেই। তাই সফল হতে হলে বৃদ্ধি করতে হবে নেটওয়ার্ক। আপনি যত বেশি সংখ্যক নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করবেন, মানুষের সাথে তত বেশি ইন্টারেকশন করতে পারবেন।
আর ঠিক তত বেশি নিজের ব্যবসাসমূহ নিয়ে মানুষকে জানাতে পারবেন। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির উপর অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
সেলস তো শুরু করলেন এবার অভিযোগ শুনুন আপনার কাস্টমারদের,
আমি মনে করি এটি এমন একটি টিপস যা সকল ধরণের উদ্দোক্তার জেনে রাখা উচিত। কারণ আপনার গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে, আপনি আপনার ব্যবসায়ের দুর্বল দিকসমূহ চিহ্নিত করতে পারবেন।
আপনার গ্রাহকগণ আপনাকে অভিযোগ দিচ্ছে, কিন্তু আপনি সেই অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না, তাহলে ভবিষ্যতে আপনার কোন গ্রাহকই থাকবে না।
তাই আপনার গ্রাহকদের অভিযোগ মনোযোগের সহিত, সম্মান দিয়ে শুনার চেষ্টা করুন। যারা সফল উদ্যোক্তা হয়েছে তারা তাদের কাস্টমারদের অভিযোগ গুরুত্বও সহকারে নিয়ে সেই অভিযোগ সমাধান করেই আজ তারা সফল।
নিজের প্রত্যাশা গ্রাহকদের উপর না চাপিয়ে সীমিত রাখুন,
একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে প্রত্যাশা সীমিত রাখতে হবে। হয়তো আপনি প্রত্যাশা এমন করেছেন যে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য মার্কেটে বাজিমাত করবে কিন্তু গ্রাহকদের তা পছন্দ হয়নি, তখন তা কোন কাজেই আসবেনা।
গ্রাহকের পছন্দ বুঝতে কেস স্ট্যাডিজ সম্পর্কে জানতে হবে,
একজন উদ্যোক্তা হবার আগে আপনি একজন মানুষ। আপনার ভালো লাগা, মন্দ লাগা থাকতে পারে। কিন্তু যখন আপনি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাইবেন আপনাকে কোম্পানির কেস স্টাডিজ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তাই বেশি বেশি এই বিষয়টি নিয়ে অধ্যয়ন করলে আপনাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
বর্তমানে সব সফল উদ্যেক্তাদের কেস স্টাডিজ মানে তারা কিভাবে সফল হয়েছে এই সম্পর্কে জানা সহজ হয়ে গিয়েছে। ইউটিউব, ইন্টারনেট, ইবুক নানা মাধ্যমে সফল ব্যবসায়ীদের জীবনী জানতে পারবেন।
ক্রেতা বিক্রেতার সম্পর্ক থেকে নিজের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে শিখুন এবং পরিবর্তন করুন,
একজন সফল উদ্যোক্তা স্বল্প সময়ে, নতুন নতুন জিনিস শিখে তা কাজে লাগাতে চায়। যেকোনো ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সৃজনশীল মন মানসিকতা তার ব্যবসার উন্নতির জন্য খুব বেশি প্রয়োজন। কারণ আপনি যত বেশি শিখবেন, তত বেশি জানবেন ঠিক সমপরিমাণে আপনি কাজে লাগাতে পারবেন।
সফল উদ্যোক্তা হতে হলে শুধুমাত্র পণ্য বিক্রি করলে হবে না বরং উপস্থাপন করতে হবে।
আপনার পণ্যসমূহ শুধুমাত্র বিক্রি করলে হবে না বরং গ্রাহকদের কাছে সেই পণ্য তুলে ধরার জন্য ট্রায়ালের ব্যবস্থা করতে হবে।
অ্যাপেল নিত্য নতুন তাদের টেকনোলজি পরিবর্তন করে মার্কেট ডোমিনেনট করছে। কিন্তু নোকিয়া বাজার থেকে হারিয়ে গিয়েছে, শুধু পরিবর্তন করার ক্ষমতা না থাকার কারণে।
সফলতা ব্যর্থতা নিয়ে প্রতিদিন প্রশ্ন করতে হবে নিজেকে,
আপনি সবকিছু জানেন, এমনটা ভাবা মোটেও ঠিক না। সকলে সকল কিছু জানে না। আপনাকে কোন না কোন সময়ে প্রশ্ন করতে হবে। মেন্টরের কাছে সাহায্য চাইতে হবে। প্রশ্ন করে একজন উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় গুন বলে বিবেচিত হয়েই থাকে।
একজন উদ্যোক্তা হতে হলে প্রশ্ন করার মানসিকতা থাকতে হবে, সেই প্রশ্ন উত্তর পেয়ে, তা কাজে লাগাতে হবে। এই গুণ যেকোনো সফল উদ্যোক্তা হবার পূর্ববর্তী বলে বিবেচিত হয়।
সবশেষে বলবো ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
একজন উদ্যোক্তার জীবনে সফলতার আগে ব্যর্থতা আসে। রাতারাতি সফল উদ্যোক্তা হবার কোনো শর্টকাট উপায় নেই। মেধা, মনন,ধৈর্য এবং পরিশ্রম উদ্যোক্তা হবার পূর্বশর্ত। মনে রাখবেন, সময়ের উৎকর্ষতার সাথে ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষে জীবনে সাধিত হয়েছে বিপ্লব।
সুতরাং উদ্যোক্তা হতে চাইলে এখনই শুরু করে দিন। পেশাটা সম্মানের,পেশাটা মহৎ লোকের।
এই পেশাই একটা জাতির আমূল পরিবর্তন এনে দিতে পারে। পরিবার, দেশ ও দশের গৌরব হতে পারেন একজন উদ্দোক্তা।