BusinessTechWorld

স্টক মার্কেট কিভাবে কাজ করে

স্টক মার্কেট

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিগুলো স্টক মার্কেটে তাদের প্রতিষ্ঠানের মালিকানার শেয়ার বিক্রি করে তাদের ব্যবসা বিস্তার করার তহবিল বাড়াতে। ব্যবসা বাড়াতে যে টাকার দরকার,সেই টাকা না আপনি দিবেন না কোনো বাজার দেবে! এমনিতে কেউই দিবেনা, অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাধারণ পণ্য-দ্রব্যর বাজার এবং শেয়ার বাজার অনেকটা একই রকম।

ভাবছেন তাহলে কি স্টক মার্কেটে সাধারণ পণ্যর পসরা সাজিয়ে বসে আছে দোকানিরা! না, এই মিল বলতে আমরা সাধারণ বাজারের ক্ষেত্রে যেমনটা দেখে থাকি কোনো পণ্যর সাপ্লাই বা সরবরাহ কমে গেলে তার ডিমান্ড বাড়ে আর ডিমান্ড বৃদ্ধি পেলে দামটাও বেড়ে যায়, অন্যদিকে কোনো পণ্যের সরবরাহ বাড়লে তার ডিমান্ড কমে এবং দামও অটোমেটিক্যালী কমে যায়। ঠিক এই কনসেপ্টে শেয়ার বাজার ও সাধারণ বাজার একই রকম।

এই শেয়ার বাজার নিয়ে আমাদের সমাজে দুটি ভিন্ন মতবাদ প্রচলিত আছে। এক, অনেকেই মনে করেন স্টক মার্কেট একটি তলা বিহীন ঝুড়ি বা অন্ধ কূপ।যেখানে ইনভেস্ট করতে করতে নিঃস্ব হয়ে গেলেও আপনি প্রফিটের মুখ দেখা তো দূরে থাক ইনভেস্টমেন্টও ফেরত পাবেন না। এরাই মনে করে স্টক মার্কেট হলো জুয়ার মতো।

অপরদিকে কিছু মানুষ বিশ্বাস করে বুদ্ধিমত্তার সাথে সবকিছু যাছাই-বাছাই করে ইনভেস্ট করলে শেয়ার মার্কেট থেকে কোনো পরিশ্রম ছাড়াই স্মার্ট একটি প্রফিট জেনারেট করা যেতে পারে। নিজের ইন্টেলিজেন্স দিয়ে এই মার্কেটে প্রফেশনালিজম বজায় রাখলে বহুদূর হাটা সম্ভব। কেননা ১৯৮০ সালে বিশ্বব্যাপী স্টক মার্কেটের মোট ক্যাপিটাল যেখানে ছিল ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে কিছু বেশি সেখানে ২০২০ এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার মার্কেটের বর্তমান ক্যাপিটাল ৯৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। 

শেয়ার মার্কেট নিয়ে প্রথম বিষয়টাই বাস্তব হতে পারে যদিনা আপনি স্টক মার্কেট সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা লাভ না করে ইনভেস্ট করে বসেন। এইসব ইনভেস্ট আপনাকে পথে নামানোর উপক্রম হয়ে উঠতে পারে।

তাই আপনি যদি শেয়ার বাজার নিয়ে আগ্রহী হয়ে শেয়ার কিনতে বা বেচতে মনস্থ করেছেন

বা চাইছেন স্টক ট্রেডিং করে কিছু রোজগার করবেন,

কিন্তু আপনার ধারণা নেই কিভাবে শেয়ার কেনাবেচা হয় বা শেয়ার জিনিসটি কি ? তাহলে এই ভিডিওটিই হতে পারে সেরা একটি স্টক মার্কেট সমাধান।

শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানার আগে চলুন বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটের শুরু থেকে বর্তমান ক্যাপিটালের ছোট্ট একটা পরিসংখ্যান দেই, ১৯৮৪ সালের শুরুতে মোট ক্যাপিটাল ছিল ৮৭ মিলিয়ন ইউ এস ডি, যা বেড়ে বর্তমান ২০২২ এ হয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ইউ এস ডির কিছু বেশি। তাই এই সেক্টরে হতাশ হওয়ার কিছু না,কেননা বিভিন্ন আপ-ডাউনের মধ্যে দিয়ে গেলেও শেয়ার মার্কেট গ্রো করছে ডে বাই ডে।

প্রথমেই আমাদের বুঝতে হবে শেয়ার বা স্টক মূলত কি! একটি কোম্পানি তাদের মূলধন হিসেব করে নির্দিষ্ট অর্থের উপর ভিত্তি করে শেয়ার মার্কেটে প্রদান করা হয় একটি টোকেন, এই টোকেন কিনে আপনি কোম্পানির ক্ষুদ্র কিছু অংশের মালিক হয়ে যান। টোকেন গুলো মূলত কোম্পানির মূলধনের অংশ।

উদাহরণস্বরূপ, যমুনা গ্রুপের যদি এক লক্ষ শেয়ার থাকে ও তার মধ্যে যদি আপনার কাছে এক হাজারটি শেয়ার থাকে তার মানে আপনি যমুনা কোম্পানির ১% মালিক । যমুনা গ্রুপের মার্কেট ভ্যালু যত বাড়বে বা কমবে আপনার স্টক ভ্যালুও ঐ রেশিও অনুযায়ী বাড়বে বা কমবে। কিন্তু এই মালিকানা দিয়ে আপনি আবার কোম্পানির ঘর বাড়ি অফিস দাবি করতে যাবেন না।

(এখানে উদাহারন হিসেবে যমুনা গ্রুপের নাম টানা হয়েছে)

এখন আপনি যদি ভাবেন যে আপনার কাছে কোম্পানির কিছু শেয়ার আছে বলে কোম্পানির লোকজন আপনাকে বিশেষ আদর-খাতির করবে ,সেটি চিন্তাও করবেন না। শেয়ার ও কোম্পানির সম্পত্তির তফাৎ বলতে গেলে শেয়ার একটি কোম্পানির সম্পত্তি বা প্রপার্টি কিন্তু আইনীভাবে শেয়ারহোল্ডারদের সম্পত্তি নয়।

এখন একটি কোম্পানি যদি দেউলিয়া হয়ে যায়, তাহলে আদালত সেই কোম্পানির সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে পারে। তবে কোর্ট আপনাকে আপনার শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য করতে পারে না। তবে কোম্পানি যখন দেউলিয়া হয়ে যায় তখন শেয়ারের মূল্য অত্যন্ত পড়ে যায়।

অপরদিকে কোনো শেয়ারহোল্ডার দেউলিয়া হয়ে গেলেও সে তার ঋণ শোধ করতে কোম্পানির কোনো সম্পদ বিক্রি করতে পারবে না।

সাধারণত শেয়ার দুই ধরণের হয়ে থাকে, একটা কমন স্টক অপরটা প্রেফার্ড স্টক।

কমন স্টকের মালিক হওয়ার সুবিধা হিসেবে ইনভেস্টরগন ঐ কোম্পানিতে ভোটাধিকার দিয়ে নিজের স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারেন।

  • এছাড়াও আপনি কিছু শেয়ার কিনেছেন মানে আপনি শেয়ারহোল্ডারদের সভাগুলোতে যোগ দিতে পারবেন।
  • কোম্পানির মুনাফা হলে ও কোম্পানি তার লভ্যাংশ যদি বিতরণ করে তবে তার একটি আনুপাতিক ভাগ আপনি পাবেন।
  • আপনি আপনার শেয়ারগুলি অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারবেন যখন খুশি।
  • আপনি যদি কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ারের মালিক হন তখন আপনার কোম্পানির মিটিং এ আপনার ভোটের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে, আপনি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বা Board of Directors নিয়োগ করে কোনও কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

অন্যদিকে প্রেফার্ড স্টক যারা কিনে তারা কোম্পানি থেকে শুধুমাত্র ডেবিডেন্ড পায়, ডেবিডেন্ড হলো কোম্পানির লাভের একটা অংশ যা কোম্পানি তার নিয়ম অনুযায়ী বছরে এক বা একাধিক বার লভ্যাংশ শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে ভাগ করে দেয়।এসব সিম্পল টার্মগুলো বেসিক নলেজ হিসেবে একজন ইনভেস্টরের থাকা উচিত।

এতোক্ষণে নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কোম্পানি গুলো কেন নিজেদের স্টক নিজেদের কাছে না রেখে মার্কেটে বিক্রি করে দেয়? কেন তারা নিজেদের শেয়ারের মাধ্যমে অন্য মানুষের প্রফিট করে দিচ্ছে? চাইলে তো নিজেরাই এই স্টক থেকে প্রফিট করতে পারতো।

এই দুটি প্রশ্নেরই সহজ এবং সাবলীল উত্তর হলো মার্কেট থেকে টাকা তুলে নেওয়া পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য। শুধু শেয়ার বা স্টক বিক্রি করে একটি কোম্পানি প্রচুর ইনকাম করতে পারে কোনো প্রডাক্ট বিক্রি ছাড়াই। এটা সম্ভব হচ্ছে যাস্ট একটি Simple Thinking এর উপর ভিত্তি করে, আর সেই ভাবনাটি হলো কোম্পানির ভবিষ্যত। মানুষ একটা কোম্পানির সঠিক ও বিশ্বস্ত প্লানিং এর উপর ভিত্তি করে ঐ কোম্পানির শেয়ার কিনে, কোনো প্রডাক্ট না উৎপাদন করে বা এভাবেই মার্কেটে প্রডাক্ট বিক্রি না করেই একটি স্টার্টআপ গ্রো করতে পারে এবং মার্কেট থেকে প্রচুর টাকা সংগ্রহ করতে পারে।

 অ্যামেরিকার সিলিকন ভ্যালীতে অনেকরকম স্টার্টআপ কোম্পানি আছে যারা শুধু নিজেদের বিজনেস মডিউল শো করে অল্প বিনিয়োগ করেও শুধুমাত্র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দোহাই দিয়ে শেয়ার মার্কেটের বদৌলতে টিকে আছে। এসব ক্ষেত্রে স্টার্টআপ গুলো নিজেদের পণ্য বাজারে না ছেড়ে মূলধনকে অনেক ছোট অংশে ভাগ করে প্রচুর শেয়ার বাজারে ছাড়ে।

মানুষের বিশ্বস্ততা অর্জনের মাধ্যমে যেসব শেয়ার বিক্রি হয় পরবর্তী ৫-৬ মাসের মধ্যে যখন কোম্পানি গুলো তাদের কোনো প্রডাক্ট বাজারে লঞ্চ না করে তখন শেয়ার হোল্ডাররা ভাবে অনেকদিন যাবত এই কোম্পানিতে আমার শেয়ার আটকে আছে এমনি এমনি। তো পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীরা তাদের সেই অর্থ তুলে আনার জন্য শেয়ার বিক্রি করে দিতে থাকে। আর এভাবেই একটি জমজমাট স্টার্টআপ ফল করতে থাকে। ট্রেডার বা ইনভেস্টরগণ যদি কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির শেয়ার খুব দ্রুত বিক্রি করে দিতে থাকে তাহলে ঐ কোম্পানি তত দ্রুতই দেউলিয়াত্বের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।

তো কোম্পানি গুলোর এই শেয়ার বিক্রির যে প্লাটফর্ম সেটাই হলো শেয়ার বাজার, মোদ্দা কথা  Stock মার্কেটটা একটি Electronic Marketplace।  যে মার্কেটে একজন ব্যক্তি বা কোনো বিনিয়োগকারী সংস্থা শেয়ার কিনতে এবং বিক্রি করতে আসে।

শেয়ার বা Stock মূলত স্টক এক্সচেঞ্জগুলিতে কেনা বেচা করা হয়, তবে ব্যক্তিগত ভাবে ক্রয় বিক্রয়ও কিন্তু করা যেতে পারে। তবে এই কেনা বেচাগুলি সরকারি নিয়ম মেনে করতে হবে, এই নিয়ম গুলি করা হয়েছে যাতে সাধারণ বিনিয়োগকারী যারা শেয়ার কিনতে বা বিক্রি করতে আসছেন তারা যেন প্রতারণাকারীদের খপ্পরে না পড়েন। মূলত বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সরকারি নিয়মগুলি তৈরী হয়েছে।

এছাড়াও কোনো কোম্পানির কর্মচারী, অফিসারদের কাছে থাকা কোম্পানির শেয়ার, ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরদের কাছে থাকা শেয়ার ও সাধারণ সমস্ত শেয়ার হোল্ডার দের কাছে থাকা ওই কোম্পানির বা সংস্থার শেয়ার গুলির সমষ্টিকে Outstanding শেয়ার বোঝায়।

 এই স্টক মার্কেটে কোম্পানিগুলো তাদের শেয়ার দর নির্দিষ্ট একটি প্রাইজ দিয়ে লিস্টিং করে,এই Initial public offering এ কোম্পানি গুলো তাদের হিসেবে যতটা কম দামে শেয়ার বিক্রি সম্ভব হয় সেই মূল্য দিয়েই লিস্টিং করে থাকে। এই পিরিয়ডকেই শটকার্টে IPO বলে।

যখনই স্টক লিস্টিং হয়ে যায় শেয়ার মার্কেটে, সেই মূহুর্তেই একটি প্রাইভেট কোম্পানি পাবলিক কোম্পানিতে রূপ নেয়।  লিস্টিং করা এ শেয়ার গুলো সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাগণ কেনা শুরুর ধাপটি এখান থেকেই শুরু হয়। স্টক কেনা বেচায় দরদামের উঠানামা শুরু হয় কোনো কোম্পানির কাজের পরিমাণ, কাজের পদ্ধতি, সাধারণ মানুষ এ কোম্পানি নিয়ে কি ভাবছে এসবের উপর নির্ভর করে এছাড়াও কখনো কখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়াতে পারে এক্সপার্টদের মতামত।

তবে দিনশেষে সবকিছু মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে কোম্পানির লাভের পরিমাণের উপর। সহজ ভাষায় কোম্পানির ইনকামই সব হিসেব নিকেশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আর এই হিসাব মেলানো হয় PE রেশিওর মাধ্যমে অর্থাৎ Price to earning ratio.

ব্যাপারটি হলো একটি কোম্পানিতে কি পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করলে কত পরিমাণ লাভ আসতে পারে।

শেয়ারের দামের এই উঠানামার ব্যাপারটি হয় মূলত স্টক মার্কেটে লক্ষ লক্ষ ইনভেস্টর থাকে, ইনডিবিজুয়্যাল ট্রেডার থাকে তারা কোম্পানি গুলো সম্পর্কে ব্যাক্তিগত মতামত বা অপিনিয়ন দেওয়ার ক্ষমতা থাকায় তারা হয় শেয়ার কিনে নয়তো শেয়ার বেচে। ট্রেডার ও ইনভেস্টর ভেদে এইরকম মিশ্র প্রতিক্রিয়া একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে আবার কমিয়ে দিতে পারে। শেয়ারের এই উঠানামাটা মূলত প্রত্যকের কোম্পানি সম্বন্ধে ট্রেডার ও ইনভেস্টরদের ব্যাক্তিগত অভিমতটাই এখানে প্রাধান্য পায়।

অর্থাৎ এন্ড অফ দা ডে যখন বেশিরভাগ মানুষ কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনে তখন ঐ কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায় আর যখন সেমভাবে মানুষ শেয়ার বিক্রি করে দেয় তখন শেয়ারের দাম কমে যায়। আলোচনার শুরুতে আমরা যখন সাপ্লাই ও ডিমান্ডের কথা বলছিলাম তখন কিন্তু এই ব্যাপারটিই ঘটেছিল।  একটা নির্দিষ্ট শেয়ারের যখন অনেক বেশি ক্রেতা হয়ে যায় তখন ডিমান্ড বাড়তির ফায়দায় কোম্পানি লাভবান হবে আর যখন বিক্রেতা বেড়ে যাবে তখন শেয়ারের দাম কমে যাবে। শেয়ারের এ দরপতন কে স্টক মার্কেটের ভাষায় বলে বিড আসক স্প্রেট।

শেয়ারের দাম যে সবসময় একই গতিতে বাড়বে এরকম কোনো কোন গ্যারান্টি নেই। কোনো শেয়ারের দাম অনেকসময় কৃত্রিমভাবেও প্রমোটররা বাড়িয়ে থাকে। আপনি ভাবলেন যে দাম সাধারণ গতিতে বাড়ছে কিন্তু আদৌ তা নয়, বরং দাম বাড়ানো হচ্ছে। অনেকসময় কোম্পানির সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে থাকে। তবে ভালো শেয়ারের দাম কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিয়ম অনুযায়ীই বাড়ে। 

শুরুর দিকে স্টক মার্কেটের কাজগুলো ম্যানুয়েলী হতো একটা মার্কেটের মধ্যেই  যা ছিল সীমাবদ্ধ। তবে বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ঠিক এই কারণে আগের চেয়ে এখন বেশি সময় বাঁচে লিস্টিং এ যার ফলাফলে শেয়ার বাজার দ্রুত গতিতে উঠানামা করতে পারে। কাজে বাড়তি স্পীড পাওয়া যায়।

আপনার মনে প্রশ্ন জাগাটা এখন খুবই স্বাভাবিক যে আপনার মাথার ঘাম পায়ে ফেলা উপার্জনের টাকা শেয়ার বাজারে কেন বিনিয়োগ করবেন, ব্যাংকে রাখলেই তো ৪-৫% ইন্টারেস্ট পেতেন?

বুঝে শুনে শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করতে পারলে আপনি মিনিমাম ৮-১০% প্রফিট জেনারেট করতে পারবেন।

তবে ইনভেস্টের ক্ষেত্রে যতরকম বিনিয়োগ বা লগ্নি করার উপায় আছে তার মধ্যে শেয়ার বাজার সব থেকে বেশি রিটার্ন দেয় , এবং না বুঝে ট্রেড করলে ঝুঁকিও সব থেকে এতে বেশি।

স্টক মার্কেটে নিট এসেট ভ্যালু গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্ম। এটি শেয়ারপ্রতি কোম্পানির নিট সম্পদের মূল্য প্রকাশ করে। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ ভালো হলে এটি ভালো শেয়ার হিসেবেই ধরা হয়। শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই শেয়ারের মূল্য ও আয়ের অনুপাত দেখতে হবে।

নিট এসেট ভ্যালু বা NAV হল নেট সম্পদ মূল্য। একটি শেয়ারের প্রকৃত দাম কত হওয়া উচিত তা NAV ধারনা দেয়। একটি কোম্পানির শেয়ার প্রতি কতো টাকার সম্পদ আছে তা জানতে পারবেন NAV দেখে।

NAV যেভাবে হিসাব করা হয়ঃ

NAV = (মোট সম্পদের মূল্য – মোট দায়বদ্ধতা) ÷ মোট শেয়ারের সংখ্যা

দায়বদ্ধতা বলতে বুঝায় কোম্পানিটি কতটুকু ঋনি বা কি পরিমাণ ঋন রয়েছে।

উদাহরণস্বরুপ, একটি কোম্পানির মোট সম্পত্তির মূল্য একলক্ষ টাকা। কোম্পানিটির ঋনের পরিমান বিশ হাজার টাকা এবং কোম্পানিটির বর্তমানে একহাজার টি শেয়ার রয়েছে। তাহলে NAV হবে,

(১০০০০০ – ২০০০০) ÷ ১০০০ = ৮০ টাকা

শেয়ার কেনার পর যতক্ষণ না আপনি শেয়ার বিক্রি করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার শেয়ার কেনার মূল্য আপনার ওয়ালেটে যোগ হবেনা। তো দর্শক শেয়ার মার্কেটে মূলত ভালোভাবে জেনেশুনে টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। বিস্তারিত জানতে চাইলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন তাহলে আমরা পরবর্তী কোনো ভিডিওতে স্টক মার্কেট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত কিছু নিয়ে আসবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button